চা শ্রমিকদের জন্য একদিনের আমিষ খাবার বিতরণ কর্মসূচি
জেনেছিলাম সীমিত আয়ের গ্যাঁড়াকলে পুষ্টিহীনতার চরম পরিস্থিতিতে বেড়ে উঠেছে চা শ্রমিকদের প্রতিটি প্রজন্ম৷ একটুতেই রোগশয্যায় কর্মহীন হচ্ছেন তারা। ল্যাম্পপোস্ট পরিবার এই শূন্যতা উপলব্ধি করেছে৷ আমরা চেষ্টা করেছি অন্তত একটা দিন তাদের জীবনে অন্যরকম একটা উৎসব বয়ে আসুক। গতানুগতিক যেকোনো উৎসবের বাইরে আকস্মিক কোনো উপলক্ষে তারা যেন সারাদিন পুষ্টি সমৃদ্ধ সুস্বাদু খাবার খেতে পারেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমরা গিয়েছিলাম ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত একটি চা বাগানে। এখানে আমরা ৫০ জন চা-শ্রমিকের হাতে একটি করে জ্যন্ত মুরগি বিতরণ করেছি কারণ, তারা চাইলে যেন এটা পালন করে ডিম উৎপাদন করতে পারেন অথবা জরুরি প্রয়োজনে এর মাংস খেতে পারেন। সাথে চারটা করে ডিম ও মসুর ডাল বিতরণ করা হয়েছে।
আমরা জেনেছিলাম আমাদের অন্যতম অর্থকরী ফসল চা উৎপাদনের সাথে জড়িত শ্রমিকেরা যুগের পর যুগ অবহেলা ও বঞ্চনার নিদারুণ জীবন অতিবাহিত করছেন। দৈনিক আয় দিয়ে তাদের সংসার চালাতে যখন হিমশিম খেতে হচ্ছে সেখানে দুবেলা উন্নত খাবারের স্বপ্ন একধরনের বিলাসিতা। আমাদের এই নগন্য উদ্যোগ হয়ত তাদের সকলের মুখে হাসি ফোটাতে পর্যাপ্ত ছিল না কিন্তু ল্যাম্পপোস্ট পরিবারের জন্য ছিল অন্যতম প্রশান্তিময় একটি দিন। আমরা যা চেয়েছিলাম তা অত্যন্ত ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। দিনশেষে সফলতার গল্প গুলোই অনুপ্রেরণা হয়ে পথ বাতলে দেবে৷