মিশন লাল সবুজ ২০২০
দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি “মিশন লাল-সবুজ” এর তিনদিন ব্যাপী ৬ষ্ঠতম কর্মসূচী বাস্তবায়ন করেছে টিম ল্যাম্পপোস্ট। এবছর পরিমাণ বিবেচনা না করে মান বিবেচনা করা হয়েছে। একশটি উন্নতমানের চারা রোপণ করা হয়েছে। প্রতিবছর সড়কের পাশে, সরকারি অফিস চত্বর ও পতিত জমিতে কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপণ করে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। এবার আমরা নদী ভাঙ্গন ও অবৈধ দখল রোধে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বিবেচনা করেছি এবং লাচ্ছি নদের দুপাশে প্রায় পঞ্চাশটি চারা রোপণ করেছি। নদী ভাঙ্গন ও ক্ষয় রোধে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই। তবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয় নদের পূর্ব পাশে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক নদীর মাঝ বরাবর মালিকানা দাবী করায় বাধাগ্রস্থ হই এবং ঐ অংশে রোপণ করতে ব্যার্থ হই।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ নগরির স্বপ্ন দেখি আমরা। কিন্তু প্রতিনিয়ত আমাদের স্বপ্ন বাধাগ্রস্থ হয় অসেচতন কিছু মানুষের চরম উদাসিনতায়। এভাবে গাছ গুলোর অর্ধেকের বেশি নষ্ট হয়ে যায়। বিগত ২ বছরে শহরের আধুনিকায়নের কারণে নির্বিচারে নিধন করা হয় পঞ্চাশের অধিক সফল বৃক্ষ। অথচ স্বদিচ্ছা থাকলে গাছ গুলো রেখেই শহরায়ন করা সম্ভব ছিল। নগর পিতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের প্রতি বিনীত আবেদন থাকবে, দয়া করে গাছ গুলো বাঁচতে সহায়তা করুন। উন্নত রাষ্ট্রে একটি গাছ বাঁচাতে প্রয়োজনে রাস্তার নকশা পরিবর্তনের অনেক নজির আছে। আমাদেরকে অতটা কষ্ট করতে হবেনা। গাছের গোঁড়ার মাটি বুলডোজার দিয়ে নয় কোদাল দিয়ে কাটান। আশাকরি আমরা সবাই একদিন সচেতন হব।
দম বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কথা আমরা কল্পনাও করতে চাই না তাই অক্সিজেন মানে জীবন। একটি সফল গাছ মানে হাজার প্রাণের হৃদস্পন্দন। একটি সবুজ নগরির স্বপ্নে দশ বছর মেয়াদী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন ল্যাম্পপোস্ট। প্রতিবছর সত্যিকারের কিছু পরিবেশ সচেতন ও প্রকৃতি প্রেমী শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রকাশ্য অনুদানে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে কিছু স্বপ্নবাজ তরুণ। আসুন এদের উদ্যমকে স্বাগত জানাই। এদের উদ্যোগকে সম্মান দেখাই। এদের পরিশ্রমকে লালন করি। এদের ভালবাসাকে শ্রদ্ধা জানাই। এদের কাঁধে কাঁধ মেলাই।